ঈদগাঁও প্রতিনিধি :::
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁও – ইসলামপুরের মধ্যেই শতাধিক বালির স্তুপ। দেখলেই মনে হয় পুরো সড়ক এসব অবৈধ বালি ব্যবসায়ীদের দখলে। তারা রাতেও দিনে মহাসড়ক দখল করে একদিকে বালি স্তুপ করে পরিবহন চলাচল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ও চলাচল করতে হিমশিম খাচ্ছে। অন্যদিকে বড় বড় ট্রাকগুলি রাস্তা দখল করে বালি ভর্তি করে। ফলে দূর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে এসব অবৈধ বালি ব্যবসায়ীর রোষানল থেকে মসজিদ কিংবা বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা ও রেহাই পাচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদগাঁও বাসস্টেশন থেকে ইসলামপুর ও খুটাখালী বাজার পর্যন্ত প্রায় শতাধিক বালির স্তুপ মহাসড়কের একাংশ দখল করে নিয়েছে। এতেই প্রতিনিয়ত যাবতীয় যানবাহন ও সাধারণ মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছে না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব অবৈধ বালি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৪ ধরণের চাঁদা আদায় করে নিচ্ছে আরেক অবৈধরা। বিশেষ করে হাইওয়ে পুলিশ, টাস্কফোর্স ও ঈদগাঁও পুলিশ ও রয়েছে। নতুন করে এসব চাঁদাবাজিতে ইউনিয়ন পরিষদ ও জড়িয়ে যাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। মহাসড়ক দেখলেই বোঝা যায় ২টি পরিবহন একসাথে চলাচলের রাস্তা নেই। বিশেষ করে বাসস্টেশন, খোদাইবাড়ী, হাসের দিঘী, আউলিয়াবাদ, ওয়াহেদর পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসের দিঘী জামে মসজিদ প্রাঙ্গন ও মমতাজুল উলুম ফরিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সম্মুখের বালির স্তুপগুলি চোখে পড়ার মত। এসব বালির স্তুপ মহাসড়ক দখল করে রেখেছে।
ফলে স্কুলে মাদ্রাসায় ও মসজিদে আসা মুসল্লীরাও বিপাকে পড়েছে। বিশেষ করে কঁচি-কাঁচা স্কুল-মাদ্রাসায় পড়–য়া ছেলেমেয়েদের নিয়ে অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছে। কখন কিরকম দূর্ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে এসব বালির স্তুপ থেকে নিয়মিত পানি বের হয়ে মহাসড়কের অনেকাংশ গর্তে পরিণত হলেও সওজ কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করে রয়েছে। অথচ সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে সড়ক মেরামত করছে নিয়মিত। শুধুমাত্র কতিপয় ও অবৈধ ব্যবসায়ীর কারণে মোটা অংকের ক্ষতি গুণতে হচ্ছে সরকারকে। আবার ঐসব বালিগুলি ঈদগাঁও নদী থেকে বিভিন্ন ড্যাম্পারযোগে মহাসড়কে স্তুপ করে রাখে। সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একটু সুদৃষ্টি দিলেই বড় ধরণের দূর্ঘটনা থেকে ঈদগাঁওবাসীসহ গোটা এলাকার লোকজন রেহাই পাবে। অতীতে দেখা গেছে, এসব বালির স্তুপের কারণে বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য দূর্ঘটনা ঘটে মৃত্যুসহ অনেকে হাসপাতালে রয়েছে।
তাই সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক চাঁদাবাজদের কবল থেকে মহাসড়কটি সমুন্নত রাখতে সওজ কর্তৃপক্ষসহ সরকারের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।
পাঠকের মতামত: